Tuesday, November 26, 2013

বই নোটঃ-১.(হেদায়াত)

                                                                 বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
বইটির প্রকৃত নামঃ                                       ‘‘হেদায়াত’’
লেখকঃ সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদুদী (পাকিস্তান)
অনুবাদকঃ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম
প্রকাশকঃ আধুনিক প্রকাশনী (ঢাকা)
স্বত্ত্বাধিকারীঃ বাংলাদেশ ইসলামীক ইনিষ্টিটিউট

                                                                    হেদায়াত
    হেদায়াত শব্দের অর্থ ঃ
১.    হেদায়াত শব্দটি আরবী, কুরআনে শব্দটি বিভিন্ন অর্থে মোট ৩১৪ বার এসেছে।
২.    পথ দেখানোর কাজটিকে বলা হয় হেদায়াত বা পথ দেখানো বা প্রদর্শন করা।
৩.    যে পথ দেখায় তাকে -        হাদী-বলে, ইংরেজীতে গাইড বলে, যেমন- কুরআনকে হুদা বলে।
৪.    যে পথ পেয়ে যায় তাকে -    মাহ্দী-বলে, যেমন- ইমাম মাহদী আসবে আমাদের মাঝে।
৫.    হেদায়াতের বিপরীত শব্দ -    হলো-দালালা বা গোমরাহী, বাকারা-১৭৫।
    অতএব হেদায়াত অর্থ ঃ
১.    অন্ধ ব্যক্তিকে আলোর সন্ধ্যান দেয়া।
২.    পথ হারা ব্যক্তিকে পথ ধরিয়ে দেয়া।
৩.    পথ পাওয়া ব্যক্তিকে তার গন্তব্যে পৌঁছতে সাহায্য করা।
    হেদায়াত শব্দের ২টি অর্থ ঃ
১.    ইরা আতুত্ ত্বারিক-        পথ দেখানো।
২.    ইছাল ইলাল মাতলুব-        গন্তব্য স্থানে পৌঁছিয়ে দেয়া (ইসালে ছাওয়াব)।
    হেদায়াত বা পথ প্রদর্শন দ্বারা কোন পথ বুঝানো হয়েছে ঃ
১.    দ্বীন ইসলাম, মায়েদা- ৩।
২.    সিরাতুল মুস্তাকীম, আনআম- ১৬১।
৩.    সত্য ও কল্যাণের পথ, সফ- ১০।
৪.    যুগেযুগে নাবী রাসুলদের পথ, তাওবা- ৩৩।
৫.    জান্নাতের পথ, আনকাবুত- ৬৯।
    হেদায়াত সম্পর্কে কুরআন ঃ
১.    হেদায়াতের মালিক-মহান আল্লাহ তায়ালা, আনআম- ৭১।
২.    আল্লাহ যাকে গুমরাহ করেন তাকে কেউ হেদায়াত করতে পারে না, আরাফ- ১৮৬।
৩.    আল্লাহ মানব জাতিকে হেদায়াত ও গুমরাহীর ২টি পথই প্রদর্শন করেছেন, ইনসান- ৩।
৪.    কেউ ইচ্ছা করে বা জোর করে কাউকে হেদায়াত করতে পারবে না, কাসাস- ৫৬।
৫.    যারা হেদায়াতের জন্য চেষ্টা করে আল্লাহ তাদের হেদায়াত দান করেন, আনকাবুত- ৬৯।
৬.    যাকে হেদায়াত করেন তার বক্ষদেশ আল্লাহ উন্মূক্ত করে দেন, আনয়াম- ১২৫, জুমার- ২২।
বইটির সংক্ষিপ্ত পরিচয় ও গুরুত্ব
পরিচয় ঃ
    ১৯৫১ সালে ১৩ নভেম্বর করাচিতে জামায়াতে ইসলামীর চারদিন ব্যাপী বার্ষিক সন্মেলনের সমাপনী  অধিবেশনে প্রদত্ত মাওলানা মওদুদীর নসিহত বা ভাষণ।
    পরবর্তিতে আন্দোলনের কর্মীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণে ১৯৮৩ সালে ইহা বই
আকারে হেদায়াত নাম দিয়ে প্রকাশ করা হয়।                                                                                
গুরুত্ব ঃ- অনেকের মনে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়-
১.    আল্লাহর সাথে আমাদের সম্পর্ক আছে কিনা।
২.    থাকলে বা কতখানি আছে।
৩.    আল্লাহর সাথে সর্ম্পক স্থাপনের তাৎপর্য কি ?
৪.    আল্লাহর সাথে সম্পর্ক কি ধরণের হবে।
৫.    আল্লাহর সাথে সম্পর্ক জানার উপায় কি ?
         মাওলানা মওদুদী এই প্রশ্নগুলোর সুন্দর একটি ধারণা বা জবাব দেয়ার জন্যই বিষয়টি বেছে নিয়েছেন।

                                                                                                                                       

    বইয়ের সূচীপত্র



ক্রম    বিবরণ    পৃষ্ঠা
১.        আল্লাহর সাথে সম্পর্ক   
২.        আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের অর্থ   
৩.        আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধির উপায়   
৪.        আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বিকাশ সাধনের উপায়   
৫.        আল্লাহর সাথে সম্পর্ক যাচাই করার উপায়   
৬.        আখেরাতকে অগ্রাধিকার দান   
৭.        আখেরাতের চিন্তার লালন   
৮.        অযথা অহমিকা বর্জন   
৯.        ট্রেনিং কেন্দ্র সমুহের উপকারীতা   
১০.        নিজের ঘর সামলানো   
১১.        পারষ্পরিক সংশোধন ও এর পন্থা   
১২.        পারষ্পরিক সমালোচনার সঠিক পন্থা   
১৩.        আনুগত্য ও নিয়ম শৃংখলা   
১৪.        জামায়াত নেতৃবৃন্ধের প্রতি উপদেশ   
১৫.        বিরুধীতা   
১৬.        দাওয়াতের সংক্ষিপ্ত কোর্স   
১৭.        মহিলা কর্মীদের প্রতি উপদেশ   


















১. আল্লাহর সাথে সম্পর্ক ঃ
১.    সম্পর্কের কারণ বা গুরুত্ব
২.    যে কোন কাজের প্রেরণার উৎস
৩.    সম্পর্কের পরিমান কি হবে
৪.    সম্পর্কের তাৎপর্য ও স্বরূপ সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে ক্ষতি
১.    সম্পর্কের কারণ বা গুরুত্ব
    নবী-রাসুল (সা) ও খোলাফায়ে রাশেদীনসহ জাতীয সৎ ব্যক্তিরা এর গুরুত্ব বলেছেন।
    জীবনের সর্ব ক্ষেত্রে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা (আকীদা-বিশ্বাসে আল্লাহর প্রতি ঈমান, ইবাদাতের বেলায় নিবিড় সম্পর্ক, নৈতিক চরিত্রে ভয় পোষণ, আচার ব্যবহার ও লেনদেনে)।
    আন্দোলনের সফলতা ও দূর্বলতা আল্লাহর সাথে আমাদের সম্পর্কের ভিত্তিতেই হবে।
২.    যে কোন কাজের প্রেরণার উৎস
    প্রেরণা আসে উদ্দেশ্য থেকে। যেমন-
    অনেকে সন্তান-সন্ততির কল্যাণের জন্য নিজের দুনিয়া আখেরাত বরবাদ করতে প্রস্তুত হয়।
    দেশ-জাতির খেদমতে আতœ নিয়োগকারী আযাদীর জন্য প্রাণ বিসর্জন দিতেও কুন্ঠিত হয় না।
৩.    সম্পর্কের পরিমান কি হবে
    পরিবার, দেশ ও জাতির চেয়ে সম্পর্ক বেশী না হলে আন্দোলন অগ্রসর হবে না।
    যাবতীয় কাজের আশা ভরসার কেন্দ্র বিন্দু হবে আল্লাহর সাথেই সম্পর্কীত।
    সম্পর্ক  হ্রাস না পেয়ে ক্রমশঃ বৃদ্ধির চিন্তাই সর্বদা জাগরুক রাখা দরকার।
    আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপনই আমাদের কাজের মূল প্রাণ স্বরূপ। 
৪.    সম্পর্কের তাৎপর্য ও স্বরূপ সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে ক্ষতি
    সম্পর্ক আছে কিনা।
    থাকলে কতখানি আছে।
    স্থাপনের তাৎপর্য কি ?
    সম্পর্ক কি ধরণের হবে।
    সম্পর্ক জানার উপায় কি ?
    এ সকল বিষয়ের উত্তর জানা না থাকার কারণে ক্ষতি হচ্ছে ৩ টি ঃ যথা -
    নিজেকে মরুভুমির মত মনে হয়।
    নিজেকে অসহায় মনে হয়।
    লক্ষ্য ভ্রষ্ট হয়ে পড়ে।
    এ সকল বিষয় গুলোর জবাব দেয়া হয়েছে এখানে।
২.  আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের অর্থ ঃ
১.  আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের ৭টি কাজ রয়েছে
    নিজের জীবনের সকল কিছু একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট্য করা, আনআম-১৬২, বাইয়েনা- ৫
    খালেসভাবে আল্লাহর দ্বীনের আনুগত্য করা, কুরআন-
    গোপনে ও প্রকাশ্যে সকল কাজে তাকে ভয় করা, কুরআন-
    উপায় উপাদানের তুলনায় আল্লাহর শক্তির উপরই ভরসা করা, কুরআন-
    আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য লোকের বিরাগ ভাজন হওয়া, কুরআন-
    বন্ধুত্ব, শত্র“তা, লেনদেন শুধু তার জন্য করা, হাদিস-
    নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী না চলা (চলার পথকে আল্লাহর নির্ধারিত সীমায় রাখা) কুরআন-
৩.  আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধির উপায় ঃ
১.    সম্পর্ক স্থাপনের পন্থা বা ধরণ
২.    বৃদ্ধির উপায় ২টি
৩.    বাস্তব কর্মপন্থার ফলাফল

১.    সম্পর্ক স্থাপনের পন্থা বা ধরণ
    সর্বান্ত করণে একমাত্র আল্লাহকে নিজের ও সমগ্র জগতে ইলাহ বা মালিক হিসাবে মেনে নেয়া।
    উপাস্য ও শাসকরুপে স্বীকার করা।
    প্রভূত্বের গুণাবলী ও ক্ষমতা একমাত্র তারই বলে স্বীকার করা।
    মন থেকে শিরক মুক্ত করা।
    আন্তরকে নির্মল ও পবিত্র করা।

২.    বৃদ্ধির উপায় ২টিঃ যথা-
    চিন্তা গবেষণা ঃ
- কুরআন, হাদিস, সাহিত্য বুঝে শুনে বার বার অধ্যয়নের মাধ্যমে সম্পর্কের ধরণ লাভ করা।
- সম্পর্কের অনুভূতি লাভ ও সার্বক্ষণিক স্বরণ।
    কুরআন-হাদিসের আলোকে যে সব বিষয়ে আল্লাহর সাথে আপনার যোগ-সম্পর্ক অনুভূত হবে ঃ
- আল্লাহ আমাদের মাবুদ, আমরা তার গুলাম।
- আমরা তার প্রতিনিধি।
- আল্লাহর সাথে আমরা ঈমান এনে চুক্তি সম্পাদন করেছি।
- আমাদেরকে তার নিকট জবাবদিহী করতে হবে।

    বাস্তব কর্মপন্থা ঃ
- নিষ্ঠার সাথে আল্লাহর বিধানের আনুগত্য করা।
- অনিচ্ছায় নহে বরং স্বতঃস্পূর্ত আগ্রহ ও উৎসাহের সাথে তার নির্দেশিত কাজ করা।
- পার্থিব স্বার্থ ব্যতিরেকে একমাত্র তার সন্তুষ্টির জন্য কাজ করা।
- গোপনে প্রকাশ্যে সর্বাবস্থায় আল্লাহর নিষিদ্ধ কাজ ঘৃণা করা।

৩.    বাস্তব কর্মপন্থার ফলাফল
    সমস্ত কাজ তাকওয়ার পর্যায়ে উপনীত হবে।
    পরবর্তী কর্মপন্থা আপনাকে এহসানের পর্যায়ে উপনীত করবে।
    আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বিকাশ সাধনের উপকরণ।

৪.  আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বিকাশ সাধনের উপকরণ ঃ
১.    কর্মপন্থার ধরণ
২.    এই শক্তি অর্জন কিভাবে সম্ভব তার মাধ্যম
১.    কর্মপন্থার ধরণ
    এপথ সহজ নয়, দূর্গম লক্ষ্যস্থল।
    এই লক্ষ্যস্থলে পৌঁছার জন্য বিশেষ শক্তি সামর্থ প্রয়োজন।

২.    এই শক্তি অর্জন কিভাবে সম্ভব তার মাধ্যম
    সালাত-
    শুধু ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত নয়।
    সাধ্যানুযায়ী নফল ইবাদাতও করতে হবে।
    নফল ইবাদাত হবে গুপনে, নিষ্ঠার সাথে।
    প্রচার করলে অন্তরে অহমিকা আসে।
    আল্লাহর যিকির-
    জীবনের সকল ক্ষেত্রে তার যিকির।
    যিকিরের অর্থ বুঝা ও অনুধাবন করা।
    সুফীদের পন্থা নয়, রাসুলের সা.নীতি অনুস্বরণ করা।
    সাধ্যানুযায়ী দোয়া মুখস্থ ও পড়ার চেষ্টা করা।
    আল্লাহকে স্বরণের জন্য দোয়ার গুরুত্ব বেশী।
    সাওম-
    শুধু ফরজ নয়, নফল রোজা অত্যান্ত জরুরী।
    মাসে ৩টি রোজা রাখা সুন্নাত।
    সাওমের উদ্দেশ্য হবে তাকওয়া।
    আল্লাহর পথে অর্থ ব্যয়-
    ইহা ফরজ নয় সুন্নাত, তবে মর্যাদা ও গুরুত্ব বেশী।
    সম্পদের পরিমাণ নয়, নিয়ত ও ত্যাগ কুরবানী আল্লাহকে দেখানো।
    তাকওয়ার সাথে অর্থ ব্যয়, সাধারণ তাকওয়ার চেয়ে জরুরী।
    তাজকিয়ার জন্য অর্থ ব্যয় খোদার নির্দেশ।
    তপস্যা, মুরাকাবার প্রয়োজন নেই, ঘরে বসেই সম্ভব হবে এ পথেই।

৫. আল্লাহর সাথে সর্ম্পক যাচাই করার উপায় ঃ
১.    কাশফ, কারামত বা অলৌকিকত্বের দরকার নেই, নিজের অন্তরই যথেষ্ট
২.    তার জন্য যা বিশ্লেষণ করতে হবে
৩.    বড় কারামত
১.    কাশফ, কারামত বা অলৌকিকত্বের দরকার নেই, নিজের অন্তরই যথেষ্ট।
২.    তার জন্য যা বিশ্লেষণ করতে হবে
    নিজের জীবন ও কর্মের পর্যালোচনা করা।
    চিন্তা ও ভাবধারা সম্পর্কে পর্যালোচনা করা।
    নিজের হিসাব নিজে নেওয়া (নিজ স্বার্থে আঘাত লাগলে কেমন লাগে দেখা) কুরআন-
    প্রদত্ত ওয়াদার পর্যালোচনা করা, কুরআন-
    আল্লাহর আমানাতের আমানাতদারীতা সম্পর্কে পর্যালোচনা করা, কুরআন-
    সময়, শ্রম, যোগ্যতা-প্রতিভা ও ধন সম্পদ কতটুকু আল্লাহর পথে ব্যয় হয়েছে তার পর্যালোচনা।
    খোদাদ্রোহীদের তৎপরতায় কতটুকু আপনার মধ্যে যাতনা সৃষ্টি করে, কুরআন-
       
                                                                                                                    
৩.    বড় কারামত
    চরম জাহেলিয়াতের মধ্যে অবস্থান করে তাওহীদের নিগুড় তত্ত্ব অনুসন্ধান ও অনুধাবন-এটাই বড় কারামত।

৬.  আখেরাতকে অগ্রাধিকার দান ঃ
১.    গুরুত
২.    লক্ষ্য
৩.    জবাবদিহী
৪.    আখেরাতে মর্যাদা লাভের মাপকাঠি-পরীক্ষা
৫.    সার্বক্ষনিক অনুভূতি ও প্রচেষ্টা
১.    গুরুত
    পার্থিব সুবিধার চেয়ে আখেরাতকে অধিক গুরুত্ব দিবেন।
২.    লক্ষ্য
    আখেরাতের সাফল্যকে লক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ করুন।
৩.    জবাবদিহী
    দুনিয়ার সাফল্য জিজ্ঞাসা না করে খেলাফত কতটুকু পালন হয়েছে তা জিজ্ঞাসা করা হবে।
৪.    আখেরাতে মর্যাদা লাভের মাপকাঠি-পরীক্ষা
    আমাদেরকে দুনিয়াতে পরীক্ষা দেয়ার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
    দুনিয়ার সম্পদকে সদ্ব্যবহার করে স্থায়ী জান্নাতের বাসিন্দা হওয়ার পরীক্ষা দিতে হবে।
    দুনিয়ার শিক্ষা সভ্যতার উন্নতি লাভে কতখানী সাফল্য লাভ করেছি তার পরীক্ষা দিতে হবে না।
    পরীক্ষার মূল বিষয়-আল্লাহর আমানাতের ব্যাপারে খিলাফতের দায়িত্ব পালনে কতখানী যোগ্য হয়েছি।
    আমরা কি বান্দা হিসাবে তার মর্জি পূরণ করি, না অন্য কারো ইচ্ছা পূরণ করি? এটাই আমাদের পরীক্ষা।
    আসল কামিয়াবী হলো-দুনিয়াতে নিজেদেরকে আল্লাহর অনুগত বান্দা-তাবেদার সাব্যস্ত করা।
৫.    সার্বক্ষনিক অনুভূতি ও প্রচেষ্টা
    সর্বদা আখেরাত স্বরণ রাখার জন্য অনুভূতি সহকারে কঠোর পরিশ্রম ও যতœ করতে হবে।
    না হলে আখেরাতকে অস্বীকার না করেও কাফিরদের মত পার্থিব কাজে লিপ্ত হয়ে পড়বো।
    আখেরাতকে স্বীকার করা কঠিন কাজ নয়, কিন্তু গোটা চিন্তাধারা, নৈতিক চরিত্র ও সমগ্র জীবনের বুনিয়াদ হিসাবে গ্রহণ করে তদানুযায়ী কাজ করা কঠিন।

৬.    আখেরাতের চিন্তার লালন ঃ

১.    সার্বক্ষণিক অনুভূতির পন্থা ২টি। যথা
    চিন্তা ও আদর্শ মূলক ঃ
অর্থ বুঝে কুরআন অধ্যয়ন ঃ এতে পাওয়া যাবে
হাদিস অধ্যয়ন ও অনুধাবন ঃ এতে পাওয়া যাবে
আন্তরিকতার সাথে কবর জিয়ারত
    ঈমান এনেছি একথার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে নিন্মোক্ত কাজগুলো করা।
#অর্থ বুঝে কুরআন অধ্যয়ন ঃ এতে পাওয়া যাবে
    প্রতি পৃষ্ঠায় আখেরাতের আলোচনা।
    আখেরাতের বিস্তারিত বিবরণ।
    স্থায়ী বাস ভুমির জন্য অস্থায়ী বাস ভুমিতে প্রস্তুতি গ্রহণ।
#হাদিস অধ্যয়ন ও অনুধাবন ঃ এতে পাওয়া যাবে
    কুরআনের বিস্তারিত ব্যাখ্যা।
    রাসুলকে সা. জানার উপায়।
    রাসুল সা. ও সাহাবাদের ত্যাগের স্বরণ।
২.    আন্তরিকতার সাথে কবর জিয়ারত
    মৃত্যুকে স্বরণ করার জন্য।
    বাস্তব কর্মপন্থ ঃ
দুনিয়াতে সমস্যা
করনীয়
অভাব পূরণ করার পন্থা
অভাব পূরণের শত
# দুনিয়াতে সমস্যা
    একদিকে আখেরাতকে বিশ্বাস ও অপর দিকে দুনিয়াদারীর হাতছানী দিয়ে ডাক।
# করনীয়
    নফসের দূর্বলতা বশত কখনো দুনিয়া মূখী হয়ে গেলে স্বরণ আসার সাথে সাথে পথ পরিবর্তনের চেষ্টা করতে হবে।
    নিজের হিসাব নিকাশ করে দেখা দরকার-কি পরিমাণ আখেরাতের দিকে অগ্রসর হয়েছেন ।
    এতে বুঝতে পারবেন আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস কতখানি মজবুত আর কতখানী পূরণ করতে বাকী আছে।
# অভাব পূরণ করার পন্থা
    দুনিয়ার লোকদের সংশ্রব পরিত্যাগ করা।
    যারা আখেরাতকে প্রধান্য দেয় তাদের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করা। 
# অভাব পূরণের শর্ত
    নিজের চেষ্টা ছাড়া গুণের হ্রাস-বৃদ্ধির কোন পন্থা আবিস্কৃত হয়নি।
    নিজের মধ্যে গুণ সৃষ্টির মূল উপাদান ও গুণ বিদ্যমান না থাকলে তাতেও হবে না।
৮.  অযথা অহমিকা বর্জন ঃ

১.    সতর্কতা
২.    অহমিকার ধরণ
৩.    অপপ্রচার
৪.    অপপ্রচারকারীদের স্বরূপ
৫.    কামালিয়াতের পার্থক্য
৬.    ৩ টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

     সতর্কতা
    ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিক জীবনে যাতে সামান্য সংস্কারের জন্য অহমিকা দেখা না দেয়।
     অহমিকার ধরণ
    আমরা পূর্ণতা লাভ করেছি মনে করা।
     অপপ্রচার
    জামায়াত নিছক একটি রাজনৈতিক দল।
    আধ্যাতিœকতার নাম নিশানা নেই।
    পরিচালক বা দায়িত্বশীলগণ কোন পীরের মুরীদ নয়।
৪.  অপপ্রচারকারীদের স্বরূপ
    কুফুরীর আশ্রয়ে ইসলামের আংশিক খেদমত করে বিরাট কীর্তি মনে করা।
    দ্বীন বিজয়ী বা প্রতিষ্ঠা করার কোন পরিকল্পনা নেই।
    দ্বীন বিজয়ী করার বিজয়কে দুনিয়াবী বিজয় বলে ঘোষণা করেন।
৫.  কামালিয়াতের পার্থক্য
    ইসলামী আন্দোলনের প্রাথমিক পর্যায়ে অবস্থানকারী লোকদের মান-পীরবাদের ট্রেনিং দাতাদের সমান নয় বরং অনেক বেশী।
৬.  তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
    কামালিয়াত একটি সীমাহীন ব্যাপার-কোন পর্যায়ে গিয়ে পূর্ণতা অনুভব হয়। উন্নতির চেষ্টা না থাকলে মান নীচের দিকে নেমে যাবে।
    ইসলামের সর্ব নিন্ম মান-
     অন্য মতবাদের আদর্শের তুলনায় অনেক শ্রেষ্ঠ।
     আন্বিয়া ও সাহাবাদের দেখলে ইসলামের মহানতœ বুঝতে পারবেন।
     মুমূর্ষ রোগী দেখে খুশী হলে চলবে না বরং বীর পাহলোওয়ানদের প্রতি লক্ষ্যকরবেন।
     দ্বীনের ব্যাপারে অপেক্ষাকৃত উন্নতির দিকে খেয়াল করা,
     সম্পদের ব্যাপারে নীচের দিকে খেয়াল করা,
    আমাদের মান-প্রকৃত ইসলামের আলোকে দেখতে হবে। ত্র“টি বিচ্যুতি স্বীকার করে শুধু যেন বিনয়ী হবার জন্য নয়, বরং তা যেন আন্তরিক স্বীকৃতি হয়।

৯.  ট্রেনিং কেন্দ্র সমুহের উপকারিতা ঃ

১.    প্রধান উপকারীতা
২.    ট্রেনিং কোর্স সমুহ দুই ভাগে বিভক্ত
১.    প্রধান উপকারীতা
    আল্লাহর সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সহযোগিতা।
২.    ট্রেনিং কোর্স সমুহ দুই ভাগে বিভক্ত
    শিক্ষা মূলকঃ
    অল্প সময়ে মৌলিক জ্ঞান অর্জন।
    জীবন ব্যবস্থা, দাবী, পন্থা, আন্দোলনের কর্মসূচী বুঝতে পারা।
    জীবন ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় কোন ধরণের ব্যক্তিগত ও সামাজিক চরিত্র প্রয়োজন তা বুঝা।

    অনুশীলন মূলকঃ
    অল্প সময়ের জন্য হলেও ইসলামী রাষ্ট্রের নমুনার সাথে সংস্পর্শ।
    অন্যের কাছ থেকে গুণাবলী আহরণ।
    পারষ্পরিক সহযোগিতা।
    দুনিয়ার সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে আল্লাহর জন্য কর্ম তৎপরতার কেন্দ্রীভূত।
    নিয়মানুবর্তিতা, শৃংখলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ইত্যাদি শিখবে।



১০.  নিজের ঘর সামলান ঃ
    সন্তান-সন্ততি ও পরিবার পরিজনদের সংশোধন সম্পর্কে কুরআনের নির্দেশ রয়েছে, ইয়া আইয়ু হাল্লাজিনা আমানু ক-আনফুসাকুম ওয়াহলি কুম নারা, সুরা তাহরিম- ৬।
    অনেকের পক্ষ থেকে অভিযোগ আসে-নিজেরা নিজের সন্তান-সন্ততির জন্য চেষ্টা কম করেন, এব্যাপারে কুরআনের নির্দেশ আছে, রাব্বানা হাব লানা মিন আজওয়াজিনা ওয়াজুর রিয়্যাতিনা কুররাতা আ’ইউনিয়াউ ওয়াজায়ালনা লিল মুত্তাকীনা ইমামা, ফুরকান-৭৪।
    বন্ধু বান্ধবদের সন্তানদের সংশোধনেরও চেষ্টা করতে হবে।

১১.  পারস্পরিক সংশোধন ও এর পন্থা
১.    গুরুত্ব
২.    পন্থা
১.    গুরুত্ব
    একই কলেমা বুলন্ধের সংগ্রাম,
    বন্ধন মজবুত না হলে সফল হবে না,
    পরষ্পরকে দোষ মুক্ত করা ঈমানী দায়িত্ব।
২.    পন্থা
    দোষ-ত্র“টি দেখলে তাড়াহুড়া না করে বিষয়টি সুষ্ঠভাবে বুঝতে চেষ্টা করা।
    মেজাজ বুঝে নির্জনে সাক্ষাত করে আলাপ করা।
    এতেও সংশোধন না হলে তার দায়িত্বশীলকে জানানো।
    আমীর বা দায়িত্বশীল প্রয়োজন মনে করলে বৈঠকে আনবেন।
    কিন্তু ব্যক্তির অবর্তমানে গীবত বা পরচর্চা করা যাবে না।

১২.  পারস্পরিক সমালোচনার সঠিক পন্থা ঃ
১.    সমালোচনা কেন
২.    ক্ষতির আশংকা
৩.    সমালোচনা নিয়ম
৪.    সমালোচনার গুরুত্ব
১.    সমালোচনা কেন
    পারষ্পরিক ত্র“টি দূর করার জন্য।
২.    ক্ষতির আশংকা
    সমালোচনার সীমা ও পদ্ধতির সতর্কতা অবলম্বন না করলে।
৩.    সমালোচনা নিয়ম
    সময়ঃ
     সর্বদা নয়, বৈঠকে দায়িত্বশীলের অনুমতিক্রমে।
    অনুভূতিঃ
     আল্লাহকে হাজির নাজির জেনে সমালোচনা পেশ করবে, ব্যক্তি স্বার্থে নয়।
    ভংগী ও ভাষাঃ
     শুভাকাংখীর মত হবে।
    প্রমাণঃ
     বলার পূর্বে বাস্তব প্রমাণ উপস্থাপন।
    যার সমালোচনা হবে তার করণীয়ঃ
     ধর্য্য সহকারে শ্রবণ করা।
     সততার সাথে ভাবা।
     সত্য অকপটে স্বীকার করা।
     মিথ্যা যুক্তি দ্বারা খন্ডন না করা।
    সীমাঃ
     বক্তব্য সীমাহীন নয়, সুস্পষ্ট হওয়া পর্যন্ত শেষ। পরে চিন্তা করা।
৪.    সমালোচনার গুরুত্ব
    সংগঠনের নিয়ম শৃংখলা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন।
    আমীর থেকে নেতা পর্যন্ত কেউ এই সমালোচনার উর্ধে থাকবে না।
    ইহা সংগঠনের অস্তিত্ব বজার রাখার জন্য অপরিহার্য কাজ।
    যে দিন সমালোচনার দ্বার রুদ্ধ হবে সে দিন থেকে আমাদের অধপতন শুরু হবে।
১৩.    আনুগত্য ও নিয়ম-শৃংখলা সংরক্ষণ ঃ
১.    আনুগত্য শৃংখলার বর্তমান মান
২.    আমাদের টার্গেট
৩.    আমাদের হাতিয়ার
৪.    আনুগত্যের শরয়ী হুকুম
১.    আনুগত্য শৃংখলার বর্তমান মান
    বর্তমান সমাজের দিকে তাকালে সুসংবদ্ধ মনে হবে।
    আমাদের আদর্শ, দায়িত্ব, কর্তব্যের প্রতি লক্ষ্য করলে আনুগত্য শৃংখলা নিতান্ত নগন্য মনে হয়।
২.    আমাদের টার্গেট
    আমাদরে উপায় উপাদান নিতান্তই সামান্য, জাহেলিয়াতের উপায় উপাদান ১০০ গুণ বেশী মজবুত।
    শুধু বাহ্যিক পরিবর্তন নয়, জাহেলিয়াতের অন্তর্নিহীত ভাবধারায়ও আমুল পরিবর্তন করাই আমাদের চাই।
৩.    আমাদের হাতিয়ার
তখনই উদ্দেশ্য সফল হতে পারে-
    যখন আমাদের লড়ার শক্তি হবে নৈতিক শক্তি ও সাংগঠনিক শক্তি।
    যখন জামায়াত নেতৃবৃন্ধের ইশারায় প্রয়োজনীয় শক্তি সমাবেশ করতে সমাজের সাধারণ লোকেরা এগিয়ে আসবে।
৪.    আনুগত্যের শরয়ী হুকুম
    আমীরের আনুগত্য মূলতঃ আল্লাহ ও রাসুলের সা. আনুগত্য করা।
    আল্লাহ ও দ্বীনের সাথে সম্পর্ক যত ঘনিষ্ঠ হবে সে তত বেশী আনুগত্য পরায়ন হবে-ইহা মানদন্ড।
    নিজের রুচি, স্বার্থ, সবকিছুর বিরুদ্ধে নেতার আনুগত্যই বড় কুরবানী বিবেচিত।
    আনুগত্যে আন্তরিকতার অভাব, অস্বস্তি ও বিরক্তির প্রকাশ-ইসলামকে সঠিক অনুধাবনের অভাবের ফলশ্র“তি।

১৪.    জামায়াত নেতৃবৃন্ধের প্রতি উপদেশ ঃ

    অহেতুক কর্তাগিরী বা প্রভূত্বের স্বাদ গ্রহণ নয়, নম্র ও মধূর ব্যবহার দিতে হবে।
    ব্যবহারে ত্র“টি কর্মীর মনে বিদ্রোহের আগুন জন্ম দিতে পারে।
    একই ধারা নয়, বরং অবস্থা, সময় ও সুযোগ বুঝে কাজ দেয়া।
    সম্পর্কের মানঃ
     আদেশ অনুরোধ নির্দেশের কাজ করবে।
     হুকুম-বেতন ভুক্ত সিপাহী, অনুরোধ হুকুমে পরিণত হবে।
     স্বেচ্ছাসেবীদের সম্পর্ক তিক্ততার সমাপ্তী ঘটায়।
     হুকুম দেয়া সাংগঠনিক চেতনার অভাব প্রমাণ করে।

১৫.  বিরোধীতা ঃ
১.    বিরোধীতার ধরণ
২.    বিরোধীতার উদ্দেশ্য ২টি
৩.    কারা কি কারণে বিরোধীতার ঝড় তুলেছে
৪.    যারা বেশী ক্ষতি করছে
৫.    তাদের ব্যাপারে আমাদের ধারণা
৬.    বিরোধীতার প্রতিকারে আমাদের করণীয়
৭.    বিরোধীতাকারীদের শুকরিয়া আদায়
৮.    জামায়াতের আলেমদের প্রতি উপদেশ
১.    বিরোধীতার ধরণ
        অধিকাংশই মিথ্যা প্রচারণা-
    অপবাদ রটনার সাহায্যে আমাদের বিরোধীতা করছে।
২.    বিরোধীতার উদ্দেশ্য ২টি
    আমাদের বিরুদ্ধে জনগনকে উত্তেজিত করতে।
    ইসলামী বিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা বানচাল করতে।

৩.    কারা কি কারণে বিরোধীতার ঝড় তুলেছে
    ক্ষমতাশীন দল ও তাদের পত্রিকাগুলো, কারণ-তারা ইসলামী রাষ্ট্রকে বিপদ জনক মনে করে।
    পাশ্চাত্য ধর্ম বিরুধী সভ্যতা, কারণ-লাগামহীন স্বাধীনতায় ঈমান ও চরিত্র অসহ্য বিবেচিত হচ্ছে।
    বিভিন্ন গুমরাহী দল সমুহ, কারণ-দেশে ইসলামী সমাজ কায়েম হলে তাদের কারসাজি বন্ধ হবে।
    আর কম্যুনিষ্টরা, কারণ-তাদের প্রকৃত বিরোধী দল হলো জামায়াতে ইসলামী।
৪.    যারা বেশী ক্ষতি করছে
    তাদের মধ্যে এমন কিছু দলও রয়েছে-যারা আলেম।
    যারা কাদিয়ানী, ধর্ম বিরোধী ও খোদাদ্রোহীদের সাথে কাঁধ মিলিয়ে আঘাত হেনেছে।
৫.    তাদের ব্যাপারে আমাদের ধারণা
    যাদেরকে আমরা দ্বীনদার ও আল্লাহভীরু মনে করতাম।
    আমরা মনে করতাম তারা দ্বীন কায়েমে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
    আমরা তাদের পদাংক অনুস্বরণ করবো।

৬.    বিরোধীতার প্রতিকারে আমাদের করণীয়
    উত্তেজিত না হওয়া, শয়তানের চক্রান্ত মনে করা।
    তাদের ব্যবহারে দুঃখ সীমাবদ্ধ রাখা, ঘৃনায় পরিণত না করা।
    বাইরের আক্রমণ রক্ষা করা নেতার হাতে, নিজ কর্তব্য সম্পাদন করুন।
    বিরোধীতার জবাব দিতে আল্লাহর নির্ধারিত সীমা লংগন না করা।
    বিরোধীতার কারণে আন্দোলনের অগ্রগতির সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।
৭.    বিরোধীতাকারীদের শুকরিয়া আদায়
কারণ তারা দ্বীন প্রচার করছে-
    সরকারের কারণে কর্মচারীদের মধ্যে প্রচার।
    গুমরাহী দলগুলো তাদের মধ্যে।
    আলেমরা ধর্মীয় লোকদের মধ্যে।
৮.    জামায়াতের আলেমদের প্রতি উপদেশ
আলেমদের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করে তাদের বুঝাতে হবে-
    আপনারা কেন বিরোধীতা শুরু করছেন।
    সাধারণ লোকেরা ইসলাম কায়েমের জন্য আন্দোলনে আসছে।
    আপনাদের মধ্যে দ্বীন কায়েমের মত দল গঠন করা সম্ভব নয়।
    আপনারা ফাসেক লোকদের নেতৃত্ব মেনে নিচ্ছেন কেন।
    জামায়াতের সাথে মত বিরোধ আলোচনা করে শেষ করা যায় না।
    কুরআন হাদিসের শিক্ষা অর্জন করে কিভাবে ঈমান বিক্রি করবেন।
    আপনারা কি পীর, উস্তাদদের শিখলে আবদ্ধ থাকবেন।

১৬.  দাওয়াতের সংক্ষিপ্ত কোর্স ঃ

    সাতটি বই পড়া দরকার-
     বাংলাদেশ ও জামায়াতে ইসলামী।
     জামায়াতে ইসলামীর বৈশিষ্ট্য।
     ইসলামী দাওয়াত ও কর্মনীতি।
     মুসলমানদের অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যত কর্মসূচী।
     জামায়াতে ইসলামীর কার্যবিবরনী।
     জামায়াতে ইসলামীর ইতিহাস।
     ইসলামী বিপ্লবের ৭দফা কর্মসূচী।
১৭.  মহিলা কর্মীদের প্রতি উপদেশ ঃ

    মহিলাদের প্রতি মাওলানা মওদুদীর ৪টি উপদেশ-
     জীবন গড়ার জন্য দ্বীনের যথাযথ জ্ঞান লাভ করা দরকার। কুরআন, হাদিস ও ফিকাহসহ পড়া।
     জ্ঞান অনুযায়ী বাস্তব জীবন পরিচালনা করার চেষ্টা করা। সংসারসহ সকল ক্ষেত্রে।
     সংশোধন মূলক কাজে নিজের সংসারের লোকদের ও আতœীয়দের প্রতি গুরুত্ব দেয়া।
     সাংসারিক কাজ সেরে সময় বাচিয়ে অন্য মহিলাদের নিকট দ্বীনের দাওয়াত পৌছানো।
ক্স    বাস্তব কর্মপন্থাঃ
১.    সঠিক পথে চলার তীব্র আকাংখা।
২.    নিজের আকর্ষণের মান পর্যালোচনা ও অভাব দেখা মাত্র পুরণ করার চেষ্টা করা।
৩.    অসৎ সংগ ত্যাগ করে সৎ সংগ লাভ করা।
৪.    নিজের চেষ্টা ব্যতীত গুণের হ্রাস বৃদ্ধি সম্ভব নয়।

No comments:

Post a Comment